আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই শহরের প্রধান সড়কের কাজ শুরু হবে: কউক চেয়ারম্যান

সাইফুল ইসলাম,কক্সবাজার জার্নাল

কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে. কর্ণেল (অব.) ফোরকান আহমদ বলেছেন, শহরের প্রধান সড়ক আধুনিকভাবে নির্মাণ করা হবে। রাস্তার দু’পাশে ড্রেইনের পাশাপাশি থাকবে ওয়াক ওয়ে। মোট রাস্তার প্রসস্থ হবে প্রায় ৪৫ থেকে ৫০ ফুট। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে শহরের প্রধান সড়কের কাজ শুরু হবে। প্রকল্পের শীঘ্রই টেন্ডার হবে।

তিনি আরও বলেন, রাস্তার দুই পাশে যেসব স্থাপনা রয়েছে, সব সরিয়ে নেয়া হবে। দখলদারেরা কথা না মানলে গুড়িয়ে দেয়া হবে অবৈধ স্থাপনা। কক্সবাজারের সামগ্রিক সম্ভাবনাকে আরো প্রসারিত করতে খুরুশকুলকে ‘স্মার্ট সিটি’ বানানো হবে

কউক চেয়ারম্যান বলেন, ১০ তলা বিশিষ্ট নিজস্ব ভবনও নির্মাণও বড় সাফল্য। কেননা এত অল্প সময়ে এতো বড় মাপের নিজস্ব ভবন পেতে অনেক সময়ের দরকার। কিন্তু আমরা তা প্রত্যাশার অনেক আগেই পেয়ে গেছি। এটাকেও বড় সাফল্য হিসেবে ধরতে হবে। সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির জন্য বাঁকখালী নদীকে সাজানো হবে হাতিরঝিলে আদলে।

রোববার (৬অক্টোবর) কক্সবাজার প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় কউক চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।

কউক চেয়ারম্যান আরো বলেন, এ পর্যন্ত ২৪৮টি ভবনের নকশা অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তবে কোন ভবনই শতভাগ নিয়ম মেনে তোলা হচ্ছে না। এছাড়া ৪৪৪টি ভূমির ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ধীরে ধীরে অবস্থান শক্ত করছে। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই কউক কক্সবাজারে প্রত্যাশিত উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। বাস্তবায়িত প্রকল্পের মধ্যে শহরের সৌন্দর্য্য বর্ধনের জন্য চারটি ভাস্কর্য নির্মাণ, কক্সবাজার শহর ও মেরিনড্রাইভ সড়কে লাইটিং এবং চলমান গোলদিঘি, লালদিঘি ও বাজারঘাটা পুকুরের ৩৬ কোটি টাকায় পর্যটনের উপযোগী করে অবকামামো উন্নয়ন।

কক্সবাজার উন্নয়ন ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রসঙ্গে লে. কর্ণেল (অব.) ফোরকান আহমদ বলেন, কক্সবাজার শহরের রক্ষাবেক্ষণ পুরোপুরি হচ্ছে না। অনেক কিছু শুধুই কাগজে-কলমে বন্দি রয়েছে। যার যার কাছ তাকে করতে হবে। আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে আপনারা না করলে আমরা সেই কাজে হাত দেবো। সরকারকে বলে আমরা কাজ নিবো। এখনো বর্জ্যে ভরে থাকে শহর। বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কাজ করবে কউক। ‘বর্জ্যকে সম্পদে পরিণত করতে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার’ শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।’ ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বলেন, উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কক্সবাজারের বর্তমান জীর্ণ চিত্রকে পাল্টে দিতে বদ্ধপরিকর। এই জন্য নানা পরিকল্পনা নিয়ে এগুনো হচ্ছে। আমাদের নিকট পরিকল্পনায় রয়েছে, আবাসন সুবিধা তৈরি করতে আবাসন প্রকল্প ও ফ্ল্যাট প্রকল্প নেয়া হবে। আবাসন প্রকল্পে সকল স্তরের মানুষের আবাসন ব্যবস্থা এবং ফ্ল্যাট প্রকল্পে স্বল্পমূল্যে ফ্ল্যাট বিক্রি করা হবে।

আজ ৭ অক্টোবর বিশ^ আবাসন দিবস উপলক্ষ্যে সাংবাদিকদের সাথে করা উক্ত মতবিনিময় সভায় কউক শীর্ষ কর্মকর্তাসহ কক্সবাজারের সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন।